স্মার্ট লালপুর-বাগাতিপাড়া গড়তে নৌকার মনোনয়ন চান ইসাহাক আলী

নাটোর প্রতিনিধি
উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট লালপুর-বাগাতিপাড়া গড়তে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী। লালপুর-বাগাতিপাড়া এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-১ আসনটি নাটোর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ন আসন। সংসদ নিবাচনকে সামনে রেখে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রাখতে ইতি মধ্যে তিনি দুই উপজেলার জনগনের কাছে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরাসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক, কর্মীসমাবেশ ও মোটারসাইকেল শোভাযাত্রসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জিবীত কলে চলেছেন। তৃণমূলের কর্মীসমর্থকরাও তাকে নিয়ে আশা করছেন। কর্মীসমর্থকদের কাছে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। ইসাহাক আলী ১৯৮২ সালে যখন দশম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। নির্বাচিত হন আড়বাব ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধায়ন করা অবস্থায় ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরায়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালের আড়বাব ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ইসাহাক আলী ১৯৯৭ সালে প্রথমবার উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত। পর পর ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১৬ টানা তিন মেয়াদে ইউনিয়ন পরিষদরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের কল্যানে কাজ করেছেন। পরে ২০০২ সাল থেকে টানা ২৩ বছর লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এই নেতা। ২০০৪ সালে ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে দিনদুপুরে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলার শিকার ও তার বিরুদ্ধে হয়রানী মুলক মামলা দেওয়া হয়। ইসাহাক আলী ২০১৯ সালে লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বর্তমান পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যদা অর্জন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ১৪ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগনের মাঝে তুলে ধরছেন তিনি। সেই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, সুন্দর এবং বাসযোগ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে তরুণ যুবকদের কাজে লাগাতে চান তিনি। গড়তে চান স্মার্ট লালপুর-বাগাতিপাড়া। বিএনপি জোট সরকারের সময় দলের দু:সময়ে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলকে ঐকবদ্ধ করেছেন তিনি। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা মহমারীতে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিজস্ব অর্থায়নে দুই উপজেলার অন্তত ৫ হাজার কর্মহীন, দরিদ্র, দিনমজুর ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে গিয়েছেন। দলের নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কণ্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত হিসেবে তাকেই নেত্রী মনোনীত করবেন বলে আশাবাদী তিনি ও তার সমর্থকরা। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে দলের ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকমীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবেন বলেন দাবি করেছেন তিনি।’