ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার : আইনমন্ত্রী
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির দেশ গঠনের মৌলিক ভিত্তি হলো শান্তি, স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন, যেগুলোর প্রতিটির সাথে ‘ন্যায়বিচার’ শব্দটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।
রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৫১তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারকদের প্রথম পদায়ন করার পর ম্যাজিস্ট্রেসি ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষ কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। এবারই প্রথম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য এ ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে, যা চলমান থাকবে। ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানোর ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান। এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোর্সটি আয়োজনের জন্য ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিচারক নিয়োগে জোর দেয়ার বিষয়ে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ১৩২৯ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০৩ জন এবং ১৬তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমানও বক্তৃতা করেন।
খবর বাসস