কুড়িগ্রামে পিতা হারা মানুষিক ভারসাম্যহীন কিশোরকে তার চাচার বুকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে পিতা হারা মানুষিক ভারসাম্যহীন কিশোর সজীব কুমার দাস (২০)কে তার  চাচার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে সদর থানা পুলিশ।

রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে নিখোঁজ মানুষিক ভারসাম্যহীন কিশোর সজীবকে তার চাচার কাছে হস্তান্তর করে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার। মানুষিক ভারসাম্যহীন সজীব কুমার দাস গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া গ্রামে মৃত লক্ষ্মণ চন্দ্র দাসের ছেলে।

এর আগে গত শনিবার দুপুরের দিকে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি দোকানের সামনে মানুষিক ভারসাম্যহীন কিশোর দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে থাকা দেখে অনেকে কথার বলার চেষ্টা করে বার্থ হন। কথা বলতে না পারায় স্থানীয়লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে কিশোরটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। কথা বলতে না পারায় তার নাম ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছিল না। মানুষিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় কিশোরকে নিয়ে বিপাকে ছিল পুলিশ। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তার খবর প্রচার হলে সজীবের সন্ধান পায় তার পরিবার।

গাইবান্ধা থেকে সজীব কুমার দাসকে নিতে আসা তার চাচা নগেন চন্দ্র দাস বলেন, সজীবের বাবা নেই, অনেক আগে বজ্রপাতে মৃত্যুবরন করে। মা আছে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। সজীবের আরও দুই বোন আছে তারাও প্রতিবন্ধী। খুব কষ্ট তাদের। গত ৩ দিন আগে সজীব কুমার দাস বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। অনেক আত্মী-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুুঁজি করে তার সন্ধান পাই নাই। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে সন্ধান পেয়ে তাকে গাইবান্ধা থেকে নিতে আসছি।

কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার জানান, মানুষিক ভারসাম্যহীন ছেলেটিকে আজকে তার চাচার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে কুড়িগ্রাম শহরে জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি দোকানের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সে কোন কথা বলতে পারছিল না। সাংবাদিক ভাইয়দের মাধ্যমে  সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি পোস্ট করে সন্ধান চাওয়া হয়। পরে পাওয়া যায়।