শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

দিনশেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ

দিনশেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক: চার বছর আগে আফগানিস্তানের সবশেষ টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচ বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। এ ক্ষত নিয়েই আজ আরেকটি টেস্ট খেলতে মাঠে নেমেছে শান্ত-জয়রা। মিরপুরে সকালে শুরু হওয়া এ ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিং এ নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার জাকির আউট হলেও শান্ত-জয়ের ২০০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের আশা দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মাঝপথে আউট হয়ে ফিরে যান ওপেনার জয়। এরপর উইকেটে এসে টিকেননি মমিনুলও। পরে ধৈর্য হারিয়ে ব্যাক্তিগত ১৫০ ছোঁয়ার আগেই আউট হন শান্ত। দিনশেষে টাইগারদের হয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান ও মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান।

 

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার জাকির হোসেনকে হারিয়ে বড় একটা ধাক্কাও খায় টাইগাররা। দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত আর জয় মিলে সেই ধাক্কা সামলে উঠে পাল্টা আক্রমণ করে আফগান বোলারদের। শান্তর ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে সঙ্গ দেওয়া জয়ের ধীরস্থির টেস্ট ব্যাটিং যেন দিশেহারা করে তোলে আফগান বোলারদের।

 

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। দুই জনে মিলে করেন ২১২ রানের বিশাল জুটি। যার মধ্যে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। তবে আরেক ব্যাটার জয় চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে বিদায় নেন।

 

পরে মুমিনুল উইকেটে আসলে ২ উইকেটে ২৩৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। শেষ সেশনে নেমেই চার মারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারে নিজাত মাসুদের শেষ তিন বলে একটি চার ও ছয় হাঁকান। তাতে বাংলাদেশের স্কোর আড়াইশ ছাড়িয়ে যায়। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল হক।

 

২৫ বল টিকলেন টেস্ট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। ১৫ রান করে নিজাত মাসুদের বলে ক্যাচ দেন আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক আফসার জাজাইকে।এরপরেই ৫৩তম ওভারে সাজঘরে ফিরছিলেন শান্ত। তবে ‘নো’ বলের জন্য  সে যাত্রায় রক্ষা পায় টাইগার এ বাঁহাতি ব্যাটার।

 

কিন্তু সুযোগ পেয়েও তা কাজা লাগাতে পারেননি শান্ত। ৫৮তম ওভারে স্পিনার আমির হামজাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। এতক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণাত্মক শটগুলো ঠিকঠাক হলেও এবার হলো না আর। ২ ছক্কা ও ২৩ চারের ইনিংসটার ইতি টানল এ জায়গায়। ১৭৫ বলে ১৪৬ রান করেন তিনি।

 

পরে পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গী হিসেবে ব্যাটে আসে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে টাইগার অধিনায়ক উইকেটে স্থীর হতে পারেননি বেশিক্ষণ। দলীয় ২৯০ রানে জহির খানের গুগলিতে ১৫ বলে ৯ করে প্যাভিলিয়নের  পথ ধরেন লিটন। ফলে ১৯ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে বাংলাদেশ।

 

শেষ বিকেলে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৭২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে প্রথম দিন পার করে টাইগাররা। মিস্টার ডিপেন্ডেবল ৪১ রান ও মিরাজ ৪৩ করে অপরাজিত রয়েছেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন