শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

জামালপুর জেলার মেলান্দহে আধুনিক প্রযুক্তিতে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত”

জামালপুর জেলার মেলান্দহে আধুনিক প্রযুক্তিতে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত”
জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহে আধুনিক প্রযুক্তিতে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়িত আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়নে মেলান্দহ উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামে কৃষকের মাঠে সোমবার সকালে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।  বিএসআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও জামালপুর উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মো. মহিউল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিল বাংলা সুগার মিলস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,  দেশের চিনির চাহিদা মেটানোর জন্য আখের আবাদ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।  আর আখ চাষকে আরও লাভজনক করার জন্য আখের সাথে অবশ্যই সাথী ফসল চাষ করতে হবে। আশি জন কৃষকের উপস্থিতিতে এই মাঠ দিবসে চাষী প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।  প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকেরা আখের সাথে সাথী ফসল চাষের সফলতা তুলে ধরেন। সভাপতির বক্তব্যে ড. খন্দকার মহিউল আলম বলেন, জামালপুর এলাকার কৃষকেরা পদ্ধতিগতভাবে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদের ফলে দিন দিন আখের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ও সাথী ফসল বিক্রি করে কৃষকদের বাড়তি আয় হচ্ছে। আখের সাথে সাথী ফসল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবু তাহের সোহেল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, করোনা কালীন সময়ে কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে এবং  এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকেদর সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্য কৃষকরাও সাথী ফসল চাষাবাদ আরম্ভ করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এম সাজেদুর রহমান বলেন-আখ একটি বছরব্যাপী ফসল, এজন্য অনেক কৃষক আখ উৎপাদনে অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু পদ্ধতিগতভাবে আখের সাথে সাথী ফসল চাষ করলে, অন্তর্বর্তী কালীন সময়ে আরো একটি বা দুটি ফসল খুব সহজেই উৎপাদন করা যায়। সাথী ফসল চাষ করলে, জমিতে যে অতিরিক্ত সার ও সেচ দেওয়া হয় তা জমির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে চাষী লাভবান হয়।
আখ চাষীরা মাঠ দিবসে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, আখের সাথে সাথীফসল চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন। সাথী ফসল উৎপাদন করলে আগাছা অনেকটা কম হয় এবং আখের স্বাস্হ্য ভালো হয় বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, তাদের দেখে আরোও অনেক চাষী, সাথী ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আগামী বছর আখের উৎপাদন এলাকা বাড়াতে এ প্রকল্প সহায়ক হবে বলে চাষীরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন