বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

এক দশক পর কু‌ড়িগ্রাম হাসপাতা‌লে হিপজ‌য়েন্ট রি‌প্লেস‌মেন্ট সার্জা‌রি

এক দশক পর কু‌ড়িগ্রাম হাসপাতা‌লে হিপজ‌য়েন্ট রি‌প্লেস‌মেন্ট সার্জা‌রি

 

কু‌ড়িগ্রাম প্রতি‌নি‌ধি,১৬ মে

এক দশ‌কেরও বে‌শি সময় পর কু‌ড়িগ্রাম জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে হিপজ‌য়েন্ট‌
রি‌প্লেস‌মেন্টের (‌রি‌প্লেস‌মেন্ট হে‌মি আ‌র্থোপ্লা‌স্টি) সফল
অস্ত্রপাচার করা হ‌য়ে‌ছে। সোমবার (১৫ মে) হাসপাতা‌লের সি‌নিয়র
কনসাল‌টেন্ট ডা. মো. গোলাম ফারুক মা‌নিক এই অস্ত্রপাচার ক‌রেন। হাসপাতা‌লের আবা‌সিক চি‌কিৎসক (আরএমও) শাহীনুর রহমান সরদার এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ জানান, এক দশক আগে মাত্র একবার এই অস্ত্রপাচার হয়েছিল
কুড়িগ্রাম হাসপাতালে।অস্ত্রপাচার হওয়া রোগীর নাম সু‌ফিয়া বেগম (৪০) । তি‌নি উ‌লিপুর উপ‌জেলার বুড়াবু‌ড়ি ইউনিয়‌নের মাস্টারপাড়া গ্রামের ব‌ছিয়তের স্ত্রী ব‌লে জানা গে‌ছে। অপা‌রেশ‌নের পর তি‌নি বর্তমা‌নে হাসপাতা‌লের সার্জা‌রি ওয়া‌র্ডে পোস্ট অপা‌রে‌টিভ কেয়া‌রে র‌য়ে‌ছেন। সু‌ফিয়া বেগম জানান, ঈ‌দুল ফিত‌রের আ‌গে প‌ড়ে গি‌য়ে তার বাঁ পা‌য়ের হাড়
ভে‌ঙে যায়। ‌তি‌নি হাঁটাচলা কর‌তে পার‌ছি‌লেন না। প‌রে চি‌কিৎস‌কের
পরাম‌র্শে তি‌নি অপা‌রেশন করা‌তে রা‌জি হন।
সু‌ফিয়া ব‌লেন, ‘অপা‌রেশ‌নের টাকা নাই। হাসপাতা‌লের ডাক্তার বিনা টাকায়
অপা‌রেশন ক‌রি দি‌ছে। কোনম‌তে জি‌নিসপত্র (সা‌র্জিক‌্যাল ইকুপ‌মেন্ট)
‌কেনার টাকা জোগাড় কর‌ছি।’ অপা‌রেশনকারী চি‌কিৎসক মো. গোলাম ফারুক মা‌নিক ব‌লেন, ‘অস্ত্রপাচার সফল হ‌য়ে‌ছে। হাসপাতা‌লে নানা সংক‌টেও আমরা এই অস্ত্রপাচা‌রে সফল হ‌য়ে‌ছি।
সরকা‌রি এই হাসপাতা‌লে সম্পুর্ণ বিনামূ‌ল্যে এই অস্ত্রপাচার করা হ‌য়ে‌ছে।’ হিপ জ‌য়ে‌ন্ট রি‌প্লেস‌মে‌ন্টে যে বাই‌পোলার ‌হিপ পো‌স্টেসিস নামক
ইকুপ‌মেন্ট ব‌্যবহার করা হ‌য়ে‌ছে তা কু‌ড়িগ্রা‌মে সরবরাহ নেই। জেলার বাই‌রে থে‌কে ‌কি‌নে আন‌তে হ‌য়ে‌ছে। রোগী শুধু এই খরচ বহন ক‌রেছেন।’ যোগ ক‌রেন ডা.মা‌নিক।
অপা‌রেশন থি‌য়েটা‌রে নানা সীমাবদ্ধতা ও দক্ষ জনব‌লের অভা‌বের কথা তু‌লে
ধ‌রে এই চিকিৎসক আরও ব‌লেন, ‘আমা‌দের এখা‌নে দক্ষ সহকারী নেই। অপা‌রেশন
থি‌য়েটা‌রে পর্যাপ্ত সু‌বিধা নেই। আবার অপা‌রেশন পরবর্তী দেখা‌শোনার জন‌্য দক্ষ জনবল নেই। নানা সীমাবদ্ধতা নি‌য়ে অপা‌রেশন কর‌তে হ‌য়ে‌ছে।’ তিন সপ্তাহের ম‌ধ্যে সু‌ফিয়া বেগম স্বাভা‌বিক চলা‌ফেরা শুরু কর‌তে
পার‌বেন ব‌লে আশা প্রকাশ ক‌রেন এই চিকিৎসক। আরএমও ডা. শাহীনুর রহমান সরদার ব‌লেন, ‘এ ধর‌ণের অস্ত্রপাচার সাধারণত
মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতাল ও বড় বড় বেসরকা‌রি হাসপাতালে হ‌য়ে থা‌কে। এক
দশক পর এখা‌নে এই অস্ত্রপাচার হ‌লো। আমরা আমা‌দের সংকটগু‌লো কা‌টি‌য়ে
ওঠার চেষ্টা কর‌ছি। দক্ষ জনবল সংকট ও নানা সীমাবদ্ধতার মা‌ঝেও আমা‌দের
চি‌কিৎসক এই অস্ত্রপাচা‌রের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তা‌কে ধন‌্যবাদ জানাই।’

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন