বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

প্রশাসনের হাতে কার্যালয় হস্তান্তরসহ ৫ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বাংলাদেশ চা জনগোষ্টী অধিকার আন্দোলন ফোরাম

প্রশাসনের হাতে কার্যালয় হস্তান্তরসহ ৫ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বাংলাদেশ চা জনগোষ্টী অধিকার আন্দোলন ফোরাম
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: প্রায় ৪ বছর ধরে নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা ধরে রাখা চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের কার্যক্রম স্থগিত করে প্রশাসনের কাছে অফিস পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ চা জনগোষ্টী অধিকার আন্দোলন ফোরাম সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা ৩০ মার্চের মধ্যে এ দাবি না মানলে ৩১ মার্চ থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে সংগঠনটি। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে মেয়াদ উত্তির্ণ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান কমিটির উপর ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে বক্তব্যদেন সংগঠনের আহবায়ক পরিমল সিং বারাইক, সদস্য সচিব গীতা কানু, সদস্য রাধাকান্ত কৈরী, রাম দয়াল গোয়ালা ও দিলীপ কুমার কৈরী। এ সময় সংগঠনের সদস্য সচিব গীতা কানু বলেন, দুই বছর মেয়াদে বিগত ২০১৮ সালের জুন মাসে নির্বাচন হয়। এর পর এখন পর্যন্ত কোন নির্বাচন ছড়াই ওই কমিটি চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রম ধরে রেখে শ্রমিকদের কাছ থেকে উত্তোলিত টাকা অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে। তিনি বলেন, চা শ্রমিক ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কমিটি এখন অবৈধ।  এ সময়  চা জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন ফোরামের আহবায়ক পরিমল সিং বারাইক শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রমঅধিদপ্তরের পরিচালক নাহিদুল ইসলাম এর উপর পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ এনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা থেকে তাকে সরিয়ে নেয়ারও দাবী জানান। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি চা শ্রমিকদের কোন স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেনা। চা শ্রমিকরা মজুরী পেতো মাত্র ১২০ টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ করে তা ১৭০ টাকা করে দিয়েছেন। এরা মালিক পক্ষের সাথে দ্বিবার্ষিক চুক্তি করতেও ব্যার্থ হয়েছে এমনকি শ্রমিকরা বাগান থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে তারা কোন ভূমিকা রাখছেনা শুধু শ্রমিদের দেয়া চাঁদা বসে বসে খাচ্ছে। তারা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হীরা লাল হাজরার পরিবার একটি মামলাঘটিত কারনে বাগান থেকে সরে গিয়ে ছিলেন। ছেলেরা পুলিশের হাতে ধরাপড়ে জেলে ছিল। জেল থেকে এসে তারা দেখেন তাদের ঘরবাড়ি দখল হয়েগেছে। এখন তারা বাগানছাড়া। অনতি বিলম্বে তাদের পুন:বাসন করার দাবী জানান তারা।  একই সাথে চা শ্রমিক ইউনিয়নের চাকুরী হারা ১৫৫ জন নারী পুরুষকে ক্ষতিপুরষ প্রদান ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যক্রমের দায়িত্ব বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের হাতে হস্তান্তর করার পরামর্সদেন তারা।  এতে সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা না নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে। এ ব্যপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দী জানান, আমাদের কমিটি সাধারণ শ্রমিকের ভোটে নির্বাচিত কমিটি। সরকার নির্বাচন কমিশিন গঠন করে দিয়েছেন। এ কমিশিন কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে চা শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন কমিশিনকে ২০ লক্ষ টাকাও দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশিন এইমুহুর্তে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরাও চাই দ্রæত নির্বাচন হোক। কিন্তু অন্য নির্বাচন আর চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন এক নয়। সারা বাংলাদেশ ব্যাপী চা শ্রমিকরা রয়েছেন। সকল জায়গায় একযোগে নির্বাচন দিতে হয়। এতে অনেক আমরা টাকার যোগার করতে পারছিনা তাই বিলম্ব হচ্ছে। এ ব্যাপারে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন এটা তার অতিরিক্ত দায়িত্ব। চা শ্রমিক ইউনিয়নের সংশোধিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দিয়েছেন এই দপ্তরের ডিজি। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য যে টাকা প্রয়োজন, সম্ভাব্য ৭০ লক্ষ টাকা সে টাকা দিতে পারছেন চা শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে নির্বাচন বিলম্ব হচ্ছে। যে কারনে নির্বাচন কমিশনের তিনমাসের মেয়াদ ১০ মাস অতিক্রম করেছে। তবে প্রস্তুতি প্রায় গুছানো আছে টাকা পেলেই নির্বাচন দ্রæত করা যাবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন