বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

রামগঞ্জে এক বিদ্যালয়েই পাঁচবার চুরি, অধরা চোর

রামগঞ্জে এক বিদ্যালয়েই পাঁচবার চুরি, অধরা চোর

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চমবারের মতো চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো চোরকে শনাক্ত কিংবা আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে শনিবার (২ মার্চ) সকালে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে, এলাকায় মাদকসেবীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী নেই। নিয়োগও হচ্ছে না। নৈশপ্রহরী না থাকায় চোর চক্র বারবার নিশ্চিন্তে বিদ্যালয়ে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে বিদ্যালয় অফিস কক্ষের তালা ভেঙে চোরের দল ঢুকে ছোট বড় প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ফাইলগুলো এলোমেলো করে রেখে গেছে। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর চুরি করে বিদ্যালয় থেকে সরকারি ল্যাপটপ, ফ্যান, সোলারের ব্যাটারিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। বারবার চুরির কারণে বিদ্যালয় এখন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বলতে কিছুই নেই। প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম বলেন, বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। কয়েকবার থানায় জানিয়েছি। অভিযোগ করা হয়েছে। তবুও কোনো সমাধান হচ্ছে না। এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই। এলাকার পাহারায় চৌকিদার রয়েছে এরপরও চুরি থামছে না। আশপাশের আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ে এভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, এলাকায় মাদকসেবী ও বিক্রেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাদকের টাকার জন্য তারাই এসব চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে। আশপাশের কয়েকটি বিদ্যালয়ে চুরি করেছে তারা। পুলিশের নজরদারি নেই বললেই চলে। এতে মাদকসেবীরা এলাকায় দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্টদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, একই বিদ্যালয়ে ৫ বার চুরির ঘটনা দুঃখজনক। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বক্তব্য জানতে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলামকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন