শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

মেয়েকে হত্যা করে ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন সৎবাবা

মেয়েকে হত্যা করে ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন সৎবাবা

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা সানজিদা খাতুন নামে ৯ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সলঙ্গা থানার ওলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সৎবাবা শিশুটিকে হত্যার পর ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর তার এই কাজে সহায়তা করেন শিশুটির প্রতিবেশী মামা।  নিহত সানজিদা খাতুন আমসড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। এ ঘটনায় সৎ বাবা শরিফুল ও প্রতিবেশী মামা হাসমতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার শরিফুল ওলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে ও হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।  বিষয়টি নিশ্চিত করে সলঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দেড় মাস আগে জরিনা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন তিনি। হাসমত আলী তাকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই তোমার স্ত্রীকে ফেরত পাবে।  এ অবস্থায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদরাসায় যাওয়ার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। তারা চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে যান। ওই রাতেই তারা মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন। এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সানজিদার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওসি বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন