শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রহিম এর মৃত্যুতে জেলা জুড়ে শোকের ছায়া

প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রহিম এর মৃত্যুতে জেলা জুড়ে শোকের ছায়া

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি. শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক ২বারের চেয়ারম্যান. সাপ্তাহিক শ্রীভূমি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রহিম এর মুত্যুতে জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এম এ রহিম ১৯৬৮ সালে তার নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলের থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠিত হয়। ১৯৭০ সালে ৬ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার সামরিক আইনে জয় বাংলা তথা পাকিস্তান ভাঙ্গা র অভিযোগে তাকে সহ অপর তিনজনকে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার জেলে প্রেরণ করে। কিন্তু জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আন্দোলনের মুখে পাক সরকার পরদিন তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জয় বাংলা মামলার তথা পাকিস্তান ভাঙ্গার চার আসামী মধ্যে তিনজনই শেষ হয়ে গেলেন। তাদের মধ্যে বাকি ৩ জন হলেন রাসেন্দ্র দত্ত, এস এ মুজিব ও মোহাম্মদ শাহজাহান । তিনি ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন সর্বোপরি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ পরপর দুবার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে নির্দলীয় প্রার্থীদের পাস করানোর অনেক কিছুই তিনি করেছেন। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ এর গণদ্বুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান ছিল অপরিসীম। ১৯৭১ সালে ভারতের বিএলে ব্যস্ততা মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে ভারতের ট্রেনিং নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার ধারক বাহকদের সংকীর্ণমনা রাজনীতির কারণে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা তলিকার আবেদন শ্রীমঙ্গল থানা যাচাই-বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত তথ্য মানেনি বলে দ্বিধা বিভক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রহিম এর মৃত্যুতে শ্রীমঙ্গল তথা মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল বেলা ৩ টায় শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল মাঠে তার প্রথম জানাযা অনুষ্টিত হবে। বিকেল ৪টায় এম এ রহিম এর গ্রামের বাড়ি আশিদ্রোন ইইনিয়নের রামনগর গ্রামে ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে সেখানেই তাকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে। মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রহিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ, সামাজিক, সাংস্কুতিক ও ব্যবসায়ীরা।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন