বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

সুলতান স্মরণে শিশুদের ব্যতিক্রমী চিঠি উৎসব, শতাধিক শিশুর অংশগ্রহণ

সুলতান স্মরণে শিশুদের ব্যতিক্রমী চিঠি উৎসব, শতাধিক শিশুর অংশগ্রহণ

 নড়াইল সংবাদদাতা: বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুস্বর্গে শিশুদের অংশগ্রহণে ব্যতিক্রমী চিঠিলেখা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে শতাধিক শিশুর অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের ভাবনায় সুলতান কেমন, এ উদ্দেশ্যে চিঠিলেখা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুলতান সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জি জানান, চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে এর আগে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম শিশুদের ভাবনায় সুলতান কেমন, তা চিঠির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আগামি ১০ অক্টোবর সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে চিঠিগুলো প্রদর্শন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীসহ অতিথিবৃন্দ শিশুদের লেখা চিঠি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।

এদিকে শিশু শিক্ষার্থী লুবাবা আজিজাহ, প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রকৃতি রাজ লক্ষ্ণী পাল, আবরার বিন আলম, সৃষ্টি গাইন, তৃতীয় শ্রেণির আয়শা সিদ্দীকা আরিশা ও পঞ্চম শ্রে্িরনর রুবাবা শবনমসহ অনেকে জানায়, সুলতান দাদুকে নিয়ে এবার প্রথম চিঠি লিখেছে। এর আগে ছবি আঁকলেও সুলতানকে নিয়ে মনের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পায়নি তারা।

অভিভাবক জান্নাতুল ফিরদাউস কেয়াসহ অনেকে জানান, ব্যতিক্রমী এ আয়োজন অনেক ভালো লেগেছে। আমরা মুগ্ধ হয়েছি। এতে শিশুদের প্রতিভা বিকাশের পথ সুগম হলো। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এসএম সুলতান। তার চিত্রকর্মের স্বকীতায় ‘লাল মিয়া’ থেকে হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘মাটি ও মানুষের শিল্পী’ হিসেবেও পরিচিতি।

অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এসএম সুলতান।

এদিকে, এস এম সুলতান চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। #

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন