বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য’

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য’

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :  জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।

 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান এক অনন্য উদ্যোগ।

স্পিকার বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেমিনার কক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

 

অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি। অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী খান ও  এ এস এম সামসুল আরেফীন প্রশংসাপত্র পাঠ করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি সারওয়ার আলী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

 

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দৈনিক সংবাদের আমৃত্যু সম্পাদক বজলুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক যিনি মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নামে বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে বজলুর রহমান শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন এবং শত প্রতিকূলতায়ও তার লেখনী স্তব্ধ হয় নি।

 

তিনি বলেন, তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের সত্য ও  বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উদ্যোগী হতে হবে।

 

স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অজানা অমূল্য ইতিহাস সারাদেশেই ব্যাপৃত আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকেরা খুঁজে বের করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

এ সময় স্পিকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার ২০২২ সালের সেরা প্রতিবেদক হিসেবে ডেইলি স্টার পত্রিকার আমিরুল রাজীব এবং দৈনিক সমকাল পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাজীব নূরকে যৌথভাবে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে যমুনা টেলিভিশনের হাবিব রহমানকে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন এবং আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট এবং জুরিবোর্ডের সদস্যবৃন্দ, দেশবরেণ্য সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন