শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

সেপ্টেম্বরে ঋণের সুদহার ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ নির্ধারণ

সেপ্টেম্বরে ঋণের সুদহার ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ নির্ধারণ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থার উদ্যোগে দুই মাস পর সেপ্টেম্বরে নেওয়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল- স্মার্ট) সুদহার করিডোর ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ছয় মাসের গড় সুদহার হচ্ছে ‘স্মার্ট’ রেট। সেপ্টেম্বর মাসে আগস্ট মাসের ‘স্মার্ট’ সুদহার জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসের ‘স্মার্ট’ রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) তা ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফ-এর পরামর্শে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ থেকে সরিয়ে নিয়ে গত জুলাই থেকে ‘স্মার্ট’ রেট চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মুদ্রানীতিতে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের জন্য প্রযোজ্য ‘স্মার্ট’ রেট ঘোষণা করে জানিয়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেপ্টেম্বর মাসে মাসে ঠিক করা ঋণের এ সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে না বাণিজ্যিক ব্যাংক। গত জুন ও জুলাই দুই মাসে ‘স্মার্ট’ রেটে কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত জুন মাসে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ৬ ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। অন্যদিকে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারবে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারের রাশ টেনে ধরতে গত জুলাই মাস থেকে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক দেশেই প্রত্যাশার চেয়েও কমে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদেরও তা অনুসরণ করার পরামর্শ ছিল। সেই নীতিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রত্যাশা করছে, আমানতে সুদহার বাড়লে আমানতকারীদের মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা কিছুটা সহজ হওয়ার প্রত্যাশাও রয়েছে। নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর অনেক ব্যাংকেরেই আমানত সুদহার বাড়তে শুরু করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, কৃষি ও পল্লিঋণের সুদহার সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে। সেক্ষেত্রে ‘স্মাট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ হবে। এতে এ খাতের ঋণ সুদহার আগামী ছয় মাসের জন্য হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। অবশ্য কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত ও ভোক্তা ঋণের আওতায় ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক আরও এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যোগ করতে পারবে, তবে তা শুধু বছরে একবারের বেশি হবে না। নতুন সুদহার নির্ধারণের জন্য ব্যাংকগুলো স্থির বা পরিবর্তনশীল যেকোনো একটি নির্ধারণে গ্রাহকের সম্মতি অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংক চাইলে সর্বোচ্চ মার্জিনের মধ্যে যেকোনো একটি অঙ্কে সুদহার নির্ধারণ করে দিতে পারে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন