নতুন বছরে ২৪১৫ রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার!
মুক্তি নিউজ২৪.কম ডেস্ক: বাংলাদেশে তিন লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে উল্লেখ করা হলেও মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, এ সংখ্যা মাত্র ২ হাজার ৪১৫ জন। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কিয়া জায়া শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের মাত্র দুই হাজার ৪১৫ জন নাগরিক সেখানে (বাংলাদেশ) আছেন।’ ২০১৭ সাল তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা মিয়ানমার সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মিয়ানমারের তিন লাখ নাগরিকের বাংলাদেশে থাকার যে হিসাব দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ‘কোনো ধারণা’ নেই বলে মন্তব্য করেন কিয়া জায়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি, সংখ্যাটা এ রকমই।
ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মায়ো মিন্ট থানকে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া তিন লাখ রোহিঙ্গাকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেয়ার তাগাদা দেয়া হয়। এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জানান, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা করতে অং সান সু চির এক বিশেষ দূত শিগগিরই বাংলাদেশে আসছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, “রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের অবস্থা মূল্যায়নের জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সূ চির বিশেষ দূত শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত আমাদের বলেছেন, ওনাদের একজন বিশেষ দূত আসবেন। ওনারা শিগগিরই আমাদের জানাবেন কবে আসবেন।”
রাখাইন রাজ্যের তিনটি সীমান্ত পোস্টে গত ৯ অক্টোবর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় সে দেশের ৯ সীমান্ত পুলিশ নিহত হওয়ার পর আশপাশের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত জেলাগুলোতে দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হয়। তখন থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়ে যায়। গত ৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নতুন করে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ বলেছে, এ সংখ্যা ৩৪ হাজার।
বেসরকারি হিসাবে কয়েক যুগ ধরে প্রায় ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বহন করছে বাংলাদেশ। বারবার বলা সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না।